Saturday, December 6, 2025
HomeScrollবাউরী কালচারাল বোর্ডে তীব্র অন্তর্দ্বন্দ্ব, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঝাঁটা হাতে মিছিল
Bankura

বাউরী কালচারাল বোর্ডে তীব্র অন্তর্দ্বন্দ্ব, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঝাঁটা হাতে মিছিল

পোড়ানো হয় চেয়ারম্যানের কুশপুতুল...

বাঁকুড়া: রাজ্যের বাউরী কালচারাল বোর্ডের চেয়ারম্যান বনাম ভাইস চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব আরও বিস্ফোরক রূপ নিল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বর্তমান চেয়ারম্যান দীপক দুলের বিরুদ্ধে ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সরব হলেন বাউরী সমাজের (Bauri Community) একাংশ। ‘চেয়ারম্যান দূর হঠো’ স্লোগান তুলতে তুলতে তাঁরা মেজিয়ায় মিছিল করেন এবং শেষ পর্যন্ত পোড়ানো হয় চেয়ারম্যানের কুশপুতুল (Protest)।

বাউরী কালচারাল বোর্ড গঠিত হয়েছিল ২০২১ সালে। লক্ষ্য ছিল বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান ও বীরভূমের বাউরী জাতির উন্নয়ন। প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ হয় ৫ কোটি টাকা, পরে বাড়ে বরাদ্দ। চলতি বছর অগাস্টে তৃণমূল নেতা দেবদাস দাসকে সরিয়ে চেয়ারম্যান করা হয় শিক্ষক নেতা দীপক দুলেকে, আর দেবদাসকে দেওয়া হয় ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। সেই পরিবর্তনের পর থেকেই বোর্ডে শুরু হয় তীব্র ক্ষমতাসংঘর্ষ। সভা–পাল্টা সভা আর প্রকাশ্য অভিযোগের মধ্যেই দ্বন্দ্ব জারি ছিল গত কয়েক মাস ধরে।

আরও পড়ুন: বানারহাটে সরকারি কাজে বেনিয়ম ও মাটি চুরির অভিযোগ

এই দ্বন্দ্ব আরও ঘনীভূত হয় যখন ভাইস চেয়ারম্যান দেবদাস দাস প্রায় ৪০ হাজার টাকার ‘ভুয়ো গাড়ির বিল’ বোর্ডে জমা দিয়েছেন বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান দীপক দুলে। তাঁর অভিযোগ, এই বিল আটকে দেওয়ার পরেই মিথ্যা অপপ্রচার ছড়িয়ে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। অন্যদিকে দেবদাস দাসের পাল্টা অভিযোগ, “আমি নিজের পকেটের টাকা খরচ করে বাউরী জাতির সেবা করি, আর বর্তমান চেয়ারম্যান জাতির মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন।”

গতকাল বাঁকুড়ার জেলা শাসকের দফতরে গিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান দেবদাস দাস ইস্তফা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু জেলাশাসক তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ না করায় ক্ষোভ আরও বাড়ে। এরপরই মেজিয়ায় পথে নেমে চেয়ারম্যান অপসারণের দাবিতে সরব হন বাউরী সমাজের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ—দীপক দুলে প্রকাশ্য মঞ্চে শালতোড়ার প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন বাউরীকে ‘কূলাঙ্গার’ বলেছেন, যা গোটা বাউরী সমাজকে অপমান করার সমান।

অভিযোগ–পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত বাউরী কালচারাল বোর্ড এখন কার্যত দ্বিখণ্ডিত। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, সেটাই এখন জেলা প্রশাসনের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

দেখুন আরও খবর: 

Read More

Latest News